প্রতিষ্ঠানের নাম | দারুল ইফতা ওয়াল উলুম আল-ইসলামিয়া চট্টগ্রাম। |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০০২ ঈসায়ী ১৪২৩ হিজরী। |
প্রতিষ্ঠাস্থান | বাসা ৮৪, রোড ৫৫, ব্ক- বি, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, চট্টগ্রাম বাংলাদেশ। (ভাড়া বাসা) |
বর্তমান অবস্থান | আসিয়া খাতুন লেইন, আল-মাদানী রোড, শোলকবহর, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। ( নিজস্ব ভবন) |
প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম | মুফতী খালিদ কাওসার শাহনগরী, ফাজেলে তাখাসসুস ফিল ফিক্হ , বিন্নুরী টাউন, করাচী, পাকিস্তান। |
নায়েবে মুহতামিম | আলহাজ মাও: হাফেজ শিহাব উদ্দীন সাহেব। |
বিভাগ সমূহ | ইফতা, ইক্বতিছাদ, ক্বিরাত, ফিহজ, শর্টকোস, বয়স্ক শিক্ষা, ইসলামী কিন্ডারগার্টেন, কিতাব বিভাগ। |
শিক্ষক সংখ্যা | ২০ জন। |
ছাত্র সংখ্যা | ৩০০ জন। |
কর্মচারি সংখ্যা | ০৪ জন। |
প্রধান পৃষ্ঠপোষক | আলহাজ সৈয়্যদ মুহাম্মদ ইলিয়াস সাহেব |
আক্বীদা / মাসলাক:
– কুরআন, সুন্নাহ ও সলফে সালেহীনের নির্দেশিত পথে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বীদায় বিশ্বাসী।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
– তালীম, তাজকিয়া, খিদমত তথা শিক্ষা, আত্মশুদ্ধি ও মানব সেবা দ্বারা আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং সমগ্র দুনিয়ায় আল্লাহর মনোনীত ধর্ম দ্বীনে ইসলামকে প্রচার-প্রসার ও প্রতিষ্ঠিত করা।
– বস্তুগত ও দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয়ে, নৈতিক ও ইসলামী শিষ্টাচারের আলোকে ছাত্র-ছাত্রীদের সৎ, যোগ্য ও সুদক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। জছাত্র-ছাত্রীদের সুপ্ত বহুমুখী প্রতিভাকে ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে বিকশিত করা এবং সঠিক আক্বীদা, তাহযীব-তামাদ্দুন ও ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান দান করা। জদ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে যুগোপযোগী, কর্মমুখী ও বাস্তবধর্মী শিক্ষা পদ্ধতির মডেল গড়ে তোলা।
বৈশিষ্ট্য:
– স্বনামধন্য অভিজ্ঞ মুফতী সাহেবের সার্বিক তত্ত¡াবধান।
– আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞ ও সুদক্ষ ক্বারী দ্বারা পাঠদান।
– আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞ হাফেজ দ্বারা পরিচালিত আবাসিক হিফজ বিভাগ।
– ট্রেনিংপ্রাপ্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা সিলেবাস ভিত্তিক পাঠদান।
– গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের জন্য বিশেষ সুবিধা। জফতওয়া ও মাস্আলা-মাসায়িল জানার আগ্রহীদের জন্য সার্বক্ষণিক সুব্যবস্থা।
– উপযুক্ত সিলেবাস। জসংশ্লিষ্ট কিতাবাদির বিপুল সমাহার।
– নিজস্ব ওয়েব সাইট।
– কোলাহল মুক্ত সুন্দর পরিবেশ।
– আরবী, ইংরেজি লিখতে ও বলতে পারার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান।
– আরবী, বাংলা ও ইংরেজি হস্তলিপি শিক্ষাদান।
– দুর্বল ছাত্রদের পৃথক ব্যাচ। জপ্রতি কোর্স শেষে ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া হয়।
– ক্লাসের পড়া ক্লাসে আদায় করা হয়।
– সার্বক্ষণিক সি.সি. ক্যামরা দ্বারা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা।
– স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তালিকা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
– উচ্চতর হাদীস গবেষণা বিভাগ।
– আরবী সাহিত্য বিভাগ।
– ইসলামীক স্কুল।
– একাডেমীক ভবন ও হোস্টেল প্রশস্তকরণে জমি ক্রয়।
– অডিটরিয়াম ও খেলার মাঠ সমৃদ্ধ প্রশস্ত ক্যাম্পাস নির্মাণ।
– মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা।
শিক্ষাবর্ষ:
– তাখাস্সুস ও কিতাব বিভাগ: শাউয়াল থেকে রমজান।
– ইসলামী কিন্ডারগার্টেন বিভাগ: জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর।
পরীক্ষাসমূহ:
– সকল বিভাগে সাধারণত তিনটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিতাব বিভাগ ও কিন্ডারগার্টেন বিভাগে ক্লাস টেস্ট ও মডেল টেস্টও নেওয়া হয়।
ফলাফল ও উত্তরণ:
– এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তরণের জন্য যে-সব বিধান প্রযোজ্য-
– প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আইন-কানুন, নিয়মনীতি যথাযথভাবে মেনে চলতে হয়।
– ক্লাসে উপস্থিতির হার নুন্যতম ৮০% থাকতে হয়।
– প্রতিটি বিষয় ও পরীক্ষায় আলাদাভাবে পাশ করতে হয়।
– অনুত্তীর্ণ কোন শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হয় না।
– শিক্ষার্থীকে প্রতিটি পরীক্ষায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হয়।
– কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে অনুত্তীর্ণ হিসাবে গণ্য করা হয়।
– রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পর অভিভাবক চাইলে ৩ দিনের মধ্যে পরীক্ষার খাতা অফিসে যোগাযোগ করে নিতে পারবেন।
ড্রেস
ইসলামী কিন্ডারগার্টেন বিভাগ:
– ছেলেদের জন্য : সাদা পায়জামা, নির্ধারিত রঙের পাঞ্জাবী, সাদা টুপি, সাদা জুতা ও সাদা মোজা।
– মেয়েদের জন্য : সাদা সেলোয়ার, নির্ধারিত রঙের ফ্রক, সাদা হিজাব, সাদা জুতা ও সাদা মোজা
– শীতকালীন পোষাক : নেভি ব্লু ফুল হাতা সোয়েটার। (সবার জন্য)
হিফজ, নাযেরা ও অন্যান্য বিভাগ: সাদা-জুব্বা, পায়জামা, টুপি, পাগড়ী।
আবাসিক ছাত্রদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র:-
- কুরআন শরীফ ১ টি, জামা (কমপক্ষে) ২ টি
- (নির্ধারিত) বেড ১ টি , পায়জামা (কমপক্ষে) ২ টি
- বেডসিট (কমপক্ষে) ১ টি, টুপি (কমপক্ষে) ২ টি
- কাবারসহ বালিশ ১ টি, পাগড়ী (কমপক্ষে) ২ টি
- কাঁথা ২ টি, লুঙ্গি (কমপক্ষে) ২ টি
- কম্বল (শীতকালে) ১ টি, গামছা ১ টি
- মিসওয়াক ১ টি, গেঞ্জি ২ টি
- টয়লেট টিসু ১ টি, সাবানদানী ১ টি